জেনারেটর সংযোগসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে ইসির ইটিআই
জেনারেটর আছে কিন্তু সংযোগ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকার হয়ে যেত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)। তবে ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানের আবদারে জেনারেটর সংযোগসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে ভবনটি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আগস্ট মাসের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইটিআই মহাপরিচালক বলেন, তিনটি বড় জেনারেটরের একটি নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর জন্য নির্ধারিত আছে। কিন্তু বর্তমানে ইটিআই ভবনে জেনারেটরের সংযোগ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ভবনটি অন্ধকার হয়ে যায়। নির্বাচন ভবনের পাশাপাশি ইটিআই ভবন ও পাশের রাস্থাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা প্রয়োজন।
এ প্রেক্ষিতে ইসি সচিব বলেন, ইটিআই কর্তৃপক্ষ, গণপুর্ত বিভাগ, পিডি (আইডিয়া-২), পিডি (ইভিএম) ওফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উল্লিখিত সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইটিআই ভবনে জেনারেটর সংযোগ প্রদান এবং চারপাশ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে হবে। তবে সিসি ক্যামেরার রেকর্ডিং এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় আলাদা হবে।
ইটিআই ডিজি বলেন, ডি-নথির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর অধিকাংশ কর্মকর্তা ও কর্মচারি’কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকি কর্মচারি ও কর্মকর্তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
তিনি জানান, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর বেজমেন্ট-২ এ ইভিএম প্রকল্পের পার্সোনালাইজেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরি বহিঃগমনসহ বেজমেন্ট-১ হতে বেজমেন্ট-২ এ গাড়ী উঠা-নামার রাস্তা গ্লাসডোর দ্বারা ব্লক করে দেয়া হয়েছে। যা ভবনের ফায়ার সিকিউরিটির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভুয়া তথ্য ফেসবুকে, ব্যবস্থা নেবে ইসি
এছাড়া বেজমেন্ট-২ এ আসার জন্য লিফট ও এর পাশের সিঁড়ি ঘরের সামনে খুব অল্প জায়গা রেখে বাকিটা গ্লাসডোর দিয়ে ব্লক করে দেয়া হয়েছে। ফলে যেকোন ধরণের দুর্ঘটনায় বেজমেন্ট-২ হতে বের হওয়া এবং ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম চালু করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এ অবস্থায় জরুরি বহিঃগমনসহ বেজমেন্ট-১ হতে বেজমেন্ট-২ এর গাড়ী উঠা নামার রাস্তার সামনের অংশ পর্যন্ত জায়গা ফাঁকা রেখে বাকিটা অফিস স্থাপনের কাজে ব্যবহার করলে ভবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি বেজমেন্ট-২ এ স্থাপিত অফিসে যারা কাজ করবে তাদেরও কর্ম পরিবেশ অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসআর/এমএসএ