কেনাকাটার হিড়িক, হাঁটারও জায়গা নেই
‘লকডাউনের’ ঘোষণা আসছে— এমন খবরে রাজধানীর শপিং মল, মার্কেট ও ফুটপাতে কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, এ লকডাউন আরও দীর্ঘ হতে পারে। এমনকি ঈদের আগ পর্যন্ত রাজধানীর মার্কেটগুলো বন্ধ থাকতে পারে এ শঙ্কা থেকেই দীর্ঘ দিনের বাজার করতে ঘর থেকে বেরিয়েছেন শহরবাসী।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের মিনি মার্কেট, নূরানী মিনি মার্কেট, গাউসিয়া, ইসমাইল ম্যানসন, এয়াকুব সুপার মার্কেট, সুভাস্তু অ্যারোমা সেন্টার, চন্দ্রিমা ও নিউ মার্কেট ওভারব্রিজ ঘুরে মানুষর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি মার্কেটের গেটে ও দোকানগুলোয় ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে তার চেয়েও খারাপ অবস্থা ছিল ফুটপাথে। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে পণ্যে কিনছিলেন ক্রেতারা।
নিউ মার্কেট ওভারব্রিজে আজিমুল নামে মাথার ক্লিপ-ব্যান্ড বিক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই রাস্তা ও মার্কেটগুলোয় প্রতিদিনই ভিড় হয়। তবে শুক্রবারে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে। আজ শুক্রবারের চেয়েও বেশি ভিড় এখানে।
জাহানারা বেগম নামে এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলন, করোনার সংক্রমণ না কমলে হয়তো লকডাউন রমজান এবং ঈদ পর্যন্ত যেতে পারে ৷ তাই আগেভাগেই কেনাকাটা সারতে এসেছি।
সালমা নামে আরেক ক্রেতা বলেন, লকডাউনের পরেও বাড়ি থেকে আপাতত আর বের হব না বলে ঠিক করেছি। তাই কিছু জিনিস আজকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। আজ সন্ধ্যার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে শিল্প-কলকারখানা শর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে। বন্ধ থাকবে দোকানপাট-শপিংমল।
এআর/এসকেডি