১২ দিনের লকডাউন চেয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে রেকর্ডসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ দিনের লকডাউন চেয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সাত দিনের লকডাউনের কথা জানিয়েছে সরকার।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের। এতে অধিদফতরের পক্ষ থেকে ১২ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার বলেছে প্রথম এক সপ্তাহ হবে। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খুরশীদ আলম বলেন, লকডাউনকালে অত্যাবশকীয় সেবা চালু ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ থাকবে। এছাড়া গণপরিবহন, দূর পাল্লার বাস, লঞ্চ, বিমান ও ট্রেন চলবে কি না সে বিষয়ে আজ (শনিবার) রাতেই নির্দেশনা তৈরি হবে, যা রোববার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হতে পারে।
লকডাউন চললে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সের ছুটি আপাতত স্থগিত থাকবে। আমাদের ডাক্তাররা গত এক বছর ধরে নিরলস চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা সকলেই সেবা দিতে দিতে ক্লান্ত। এ অবস্থায় চাপ যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে হয়তো আমরা পেরে উঠবো না।
টিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করা হবে কি না তা নিয়ে রাতেই আজ আরেকটি বৈঠক হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বেক্সিমকোর সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে শিগগিরই টিকা আসবে। আমরা অপেক্ষায় আছি। লকডাউনের সিদ্ধান্ত সরকার ভেবে চিন্তেই নিয়েছে। হুট করেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউনের কথা জানিয়েছে সরকার। এমন সিদ্ধান্তের দিনে খবর এলো করোনায় আরও ৫৮ জনের মৃত্যুর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয় হাজার ২১৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৮৩ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে।
টিআই/আরএইচ