দেশেই তৈরি হবে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা
শিগগিরই দেশে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি) টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।
বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের যেখানেই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা যাবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিএলআরআই বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা যত গতিশীল করতে পারব, যত আমাদের গবেষণা বাড়বে, তত প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করতে পারব। এ প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের ভ্যাকসিন সিড উদ্ভাবন করেছে। এটি দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের অত্যন্ত বড় অর্জন। এর মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই সিডের মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজের বহুসংখ্যক টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মন্ত্রী আরও জানান, এক সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাণিসম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং এর বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াকরণ। এক্ষেত্রে বিএলআরআই এর বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্যারাগন গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইয়াসমিন রহমান, বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাকিলা ফারুক, বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচআর/এসকেডি