প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুতে যান চলাচল
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরের আগে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ দিয়ে যাত্রী চলাচল শুরু করতে চান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সাক্ষাতের পরে তিনি এ তথ্য জানান।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামগড় মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানে আমাদের সব অবকাঠামো হয়ে গেছে। কাস্টমসে চলে গেছে। শুধু ইমিগ্রেশনের কারণে আমরা এটি চালু করতে পারছি না। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা চালু করে ফেলতে পারব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। সফরের আগে কিছু-কিছু বিষয় আছে, এগুলো আমরা শেষ করতে পারি— এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ বলেন, সফরে কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানে। এটাতো আমার জানার কথা নয়। তবে যেহেতু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই যেন আমরা এটার অপারেশনে চলে যেতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।
‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম দিয়ে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সেতু। ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নদী সেতু দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত যুক্ত হয়। ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেন।
১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)। এ সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। ফলে বন্দর থেকে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এসএইচআর/কেএ