ডিবিতে অভিযোগের পর ভাটারা থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি
ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করার পর রাজধানীর ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
রোববার সন্ধ্যায় পাইরেসি ও আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরির অভিযোগে ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন তিনি।
অপু বিশ্বাসের দায়ের করা জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ ডি এম আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, অপু বিশ্বাসের দায়ের করা জিডি নং ৫৫৬। পাইরেসি ও আপত্তিকর মন্তব্যের সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরে তিনি সাধারণ ডায়েরিটি করেন।
এর আগে আজ বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে একই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
রোববার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ডিবি প্রধানের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভিউয়ার্স বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। লাল শাড়ি ছবিটি আমার অনেক কষ্টের। লাল শাড়ির পাইরেসি রোধে ও ফেসবুকে আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরির বিষয়ে অভিযোগ করেছি ডিবি কার্যালয়ে।
অপু বলেন, লাল শাড়ি ছবিটি আমার অনেক কষ্টের। ছবিটি নিয়ে পাইরেসির কথা বলতে আমি ডিবিতে এসেছিলাম। পাশাপাশি আপনারা জানেন যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং অনেক বেড়ে গেছে। কারণে-অকারণে ভিউয়ার্স বাড়ানোর আশায় সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। সাইবার বুলিং মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে, এটা কারো কাম্য নয়। কারণ বেলা শেষে আমরা সবাই পরিবারে বসবাস করি।
অপু বিশ্বাস বলেন, লাল-শাড়ি সিনেমাটির নির্মাতা আমি। এটি একটি অনুদানের ছবি। কয়েকদিন আগে সুড়ঙ্গ চলচ্চিত্রটি পাইরেসির শিকার হয়েছিল। পাইরেসির শিকার হয়ে চলচ্চিত্রটির টিম ডিবির কাছে এসেছিল। এরপর গোয়েন্দারা এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনেছেন।
তিনি বলেন, সাইবার বুলিংটা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে এটা কারও কাম্য নয়। কারণ বেলাশেষে আমরা সবাই পরিবারে বসবাস করি। আমাদেরও পারিবারিক অবস্থান আছে। হয়ত আমি চিত্রনায়িকা, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অনেক নিউজের সামনে পড়তে হয়। আরও একটা কথা বলতে চাই, আমরা আর্টিস্টরা বিভিন্ন দেশে যাই। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। এ রকমটা হলে আমাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন অপু বিশ্বাস।
জেইউ/এসকেডি