ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা প্রদান নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় অতিরিক্ত কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে তারা সরকারি নিয়ম মাফিক ডিউটি পালন করে যাচ্ছেন। এতে রেলওয়ের লোকবল সংকট থাকায় খানিকটা বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেনগুলো।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে যেসব ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেসব প্রতিটি ট্রেনের ঢাকা স্টেশন ছাড়তে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
ট্রেনের যাত্রী নাজমুল হক জানান, সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেসের জন্য সাড়ে ৮টায় বিমানবন্দর স্টেশনে এসেছি। কিন্তু সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ট্রেনের দেখা পাইনি। এখানে এসে জেনেছি, সাড়ে ৭টার পর থেকে কোনো ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে আসেনি। কখন আসবে জানি না।
পরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাড়ে ৭টার পরে কোন ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছাড়েনি। উপবন এক্সপ্রেস ছাড়ল ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে। চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ৯টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ছাড়েনি।
সূত্র আরও জানায়, ১১টার আগে ঢাকায় থাকা কোনো ক্রুয়ের রেস্ট টাইম শেষ না হওয়াতে এমন হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, রেলওয়ের রানিং স্টাফরা আল্টিমেটাম দিয়েছেন ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবে না। এজন্য তাদের রেস্ট টাইম শেষ না হওয়াতে তারা ইঞ্জিনে উঠছেন না।
তিনি আরও বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনগুলো ছাড়বে। তবে ৩টি লোকাল ট্রেন আজ ঢাকা স্টেশন ছাড়বে না।
উল্লেখ্য, মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা, ধর্মঘটও পালন করেছেন রেল কর্মীরা। তবে রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ফের কর্ম-ঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এমএইচএন/এসকেডি