হিরো আলম ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে ডেকে ঢাকার ক্ষোভ
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় টুইট করেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় ঢাকা। কিন্তু তিনি ছুটিতে থাকায় জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শেলডন ইয়েটকে ডেকে ঢাকার পক্ষে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে ডেকেছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত তিনি না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান এসেছেন। আমরা উনাকে বলেছি, ঢাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, কারা করেছে আমরা জানি না। এখানে লোক তো মারাও যায়নি। তবে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোমেন বলেন, তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, জাতিসংঘের নাম ব্যবহার করে টুইট বার্তা দিতে পারে। এটা কোড অফ কনডাক্ট (কূটনৈতিক শিষ্টাচার) আছে কি না, আমরা সেটাই তাদের কাছে জানতে চেয়েছি।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা এবং গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ পশ্চিমবঙ্গে ৪০ জনের মতো লোক মারা গেছে। সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি কোনো বক্তব্য দেয়নি। গতকাল আমেরিকায় এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রদূতরা দলবেধে প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার এক টুইটে নিন্দা জানান গোয়েন লুইস। তিনি লিখেন, সহিংসতামুক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ সবার মৌলিক অধিকার এবং সেটিকে রক্ষা করা উচিত।
এছাড়া এ হামলার ঘটনায় বুধবার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা মিশনগুলো।
মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম- যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত তার ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন।
এনআই/এমজে