উপনির্বাচন হওয়ায় ভোটারের অনীহা, কেন্দ্রে সমর্থকের সংখ্যাই বেশি

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন চলছে। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুরের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। কিন্তু ভোটারদের তুলনায় নৌকার সমর্থকদের উপস্থিতি রয়েছে দেখার মতো। তবে উপনির্বাচন বলেই ভোটারদের মাঝে অনীহা বলে মনে করছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গুলশান কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সকালের চেয়ে দুপুরের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ৪৩ নম্বর কেন্দ্রে ৩২৮৮ জন ভোটারের মধ্য ভোট পড়েছে মাত্র ২৫৬টি। সেই কেন্দ্রে ৬টি বুথ রয়েছে। এটি নারীদের ভোটকেন্দ্র। প্রিজাইডিং অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে একই বিদ্যালয়ের ৪১ নম্বর কেন্দ্রের ১৭৯৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২১৩টি।
অন্যদিকে ৪২ নম্বর ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নুরে আলম ছিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রে ১৮০৬ জন ভোটার রয়েছে। তার মধ্যে কত ভোট সংগ্রহ করা হয়েছে সেটি বলা যাবে না। আমরা এখনো সেই হিসাব নেইনি। আমরা মধ্যাহ্ন বিরতির পরে হিসাব করব।
বিজ্ঞাপন
কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৯ নম্বর কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩৪৫৩ জন। সেই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ৩৭২ জন। তবে সকাল থেকে দুপুরের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন।
কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, সকালে বাড়িতে কাজ ছিল, তাই এখন এলাম। আমার স্বামী ও মেয়ে ভোট দিয়ে গেছে। আমাদের পরিবারের সবাই ভোট দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান, বারিধারা ও কালাচাঁদপুরের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের তুলনায় সমর্থকদের সংখ্যাই বেশি। একজন ভোট দিতে এলে সবাই তাকে ঘিরে ধরে নিজেদের ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য বোঝাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক বেশি দেখা যায়। ভোটকেন্দ্রের আশপাশে হিরো আলম কিংবা অন্যান্য প্রার্থীর সমর্থকদের তেমন একটা চোখে পড়েনি।
বারিধারা কসমো পলিটন ক্লাব লিমিটেডের ৪৪ নম্বর ভোট কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ১১৫ জন। এ কেন্দ্রের বুথ ৬টি। এখানে ভোটার সংখ্যা ৩৮০৪ জন। এ কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে মোহাম্মদ এ আরাফাত ও হিরো আলমের এজেন্ট রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের পাশে অবস্থানরত আজাদ হোসেন নামে এক নৌকার সমর্থককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলেও উপনির্বাচন। ভোটারদের মধ্যে কিছুটা অনীহা রয়েছে। মাত্র পাঁচ মাসের জন্য ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কী হবে? আমাদের ভাগ্য কী পরিবর্তন হবে? মূলত এ চিন্তা থেকেই অনেক ভোটার কেন্দ্রে আসছেন না। ভোটারদের অনীহার কারণে উপস্থিতি কম।
প্রিজাইডিং অফিসার মো. তৈয়বুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটাররা নিজেদের মতো সময় করে আসছেন, ভোট দিচ্ছেন, আবার চলে যাচ্ছেন। এখানে নৌকা, একতারা ও গোলাপ ফুল মার্কার প্রার্থীর এজেন্ট রয়েছে।
এমএসআই/কেএ