মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কূটনৈতিক সফলতার প্রশংসায় মোমেন
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের কূটনৈতিক সাফলতার প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলমান সংকট প্রশমনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে দেশটি।
বুধবার (৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ সময় ড. মোমেন চীনের কূটনৈতিক সফলতার প্রশংসা করেন।
বৈঠকে মোমেন দক্ষিণের বৃহত্তর সম্মিলিত সুবিধার জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ আরও বাড়াতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট টেনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের যারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছেন, তাদের কথা তুলে ধরেন।
মোমেন সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলে নিজের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। মোমেন বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, চীনের সঙ্গে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে। তিনি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের প্রত্যাশা করেন।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, বিরাজমান বর্ষাকালীন সমস্যা এবং বন্যা পরিস্থিতির প্রভাব; বিশেষ করে আকস্মিক বন্যার কথা চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বন্যা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে নদীগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের বিষয়ে চীনা সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।
উভয়পক্ষ বহুপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এনআই/এসএম