ফাঁকা হচ্ছে ব্যস্ত নগরী ঢাকা

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে ঢাকা ছেড়েছেন অসংখ্য মানুষ। আজ (২৭ জুন) থেকে সরকারি সকল অফিস আদালত ছুটি থাকায় শেষ মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকে। ফলে ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে এখন সুনসান নীরবতা। কোলাহল নেই মহল্লা কিংবা শপিং মলেও। নেই যানজট, এ যেন এক অন্যরকম ঢাকা।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর কমলাপুর, খিলগাঁও, মতিঝিল, বাসাবোসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গুলিস্তানসহ কিছু কিছু এলাকায় যানজট দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা হলেও সায়দাবাদ বাস কাউন্টার, গুলিস্তান বাস কাউন্টার, মহাখালী বাস কাউন্টারসহ বিভিন্ন পশুর হাটের আশেপাশে এলাকাগুলোতে কিছুটা যানজট রয়েছে। শেষ সময়ে অনেকেই ভিড় করছেন পশুর হাটগুলোতে।ফলে যানজট তৈরি হচ্ছে কিছু সড়কে।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যস্ত শহর ঢাকায় এক নীরবতা তৈরি হয়েছে। সড়কে অল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ নানা ধরনের পরিবহন চলাচল করছে। ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে যানজট না থাকায় দ্রুত গতিতে এসব পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বাসাবো থেকে গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন ফাহাদ শাহরিয়ার। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আজ থেকে যানবাহনের চাপ কম মনে হচ্ছে। পরিবারকে আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ আমিও যাচ্ছি। আগেভাগে ছুটি না থাকায় আমি আজ গ্রামের দিকে যাত্রা করেছি। রাস্তা ফাঁকা থাকলেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
আবদুস সালাম নামে এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররম শপিং কমপ্লেক্স থেকে খিলগাঁও এসেছি আমি। মনে হচ্ছে দুই তিন মিনিট সময় লাগছে। কোথাও জ্যাম নেই, সিগন্যাল নেই। ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা এখন ফাঁকা।
তিনি বলেন, ঈদের পর আরও দুই একদিন এমন পরিস্থিতি থাকবে।এ ফাঁকা শহরে গাড়ি চালিয়ে স্বস্তি পাওয়া যায়। অন্য সময় তো জ্যাম আর সিগন্যালে জীবন শেষ। আগামীকাল ঢাকা আরও বেশি ফাঁকা হয়ে যাবে।
এমএম/এসকেডি