বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাস কাউন্টারে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
ঈদের আনন্দ প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামের উদ্দেশে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই রাজধানীসহ সারাদেশে রয়েছে বৃষ্টির আনাগোনা। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। তবুও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাস টার্মিনালে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যেই আসতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। কাউন্টার থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে বাসগুলোকে সময় অনুযায়ী ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক যাত্রী টিকিটের দর কষাকষি করছেন। হাঁক-ডাক ছেড়ে গন্তব্যের নাম উল্লেখ করে ডাকাডাকি করছেন টিকিট বিক্রেতারা। যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বাসগুলো।
রাশেদ নামের ফেনীগামী একজন যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, অফিস থেকে গতকাল ঈদ উপলক্ষ্যে পাঁচদিনের ছুটি পেয়েছি। আজকে সকালে রওনা দিচ্ছি।
বাসের টিকিটের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ে সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৭০ টাকা দিয়ে যাই। ঈদ উপলক্ষ্যে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে। ৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছি।
আরিফুর রহমান নামের পটুয়াখালীগামী যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আজকে তেঁতুলিয়া পরিবহনের টিকিট কাটলাম। অন্যান্য সময়ে ৫০০ টাকা দাম থাকলেও আজকে ১ হাজার টাকা নিলো।
নোয়াখালীগামী আমানুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে অনেকে বাড়ি ফিরছেন। সেজন্য টার্মিনালে অনেক ভিড়। বাস ভাড়া অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে ওয়েলকাম বাসের স্টাফ ইউসুফ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদে ঢাকা থেকে বাসভর্তি মানুষ গেলেও ফেরার সময় যাত্রী থাকে না। সেজন্য ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সায়েদাবাদে বিভিন্ন বাসের টিকিট বিক্রি করা সাঈদুল ইসলামের দাবি, বাসগুলোর কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাড়িয়েছে। তাই তারা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।
তিনি বলেন, ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কাউন্টারগুলোতে মানুষের অনেক ভিড় ছিল। বৃষ্টি নামার পর ভিড় কমে এসেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, এই সময়ে এবারের ঈদে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাবেন প্রায় ৮০ লাখ মানুষ।
সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরি বলেন, ২২ জুন থেকে ঈদযাত্রা শুরু হলেও ২৬-২৭ জুন থেকে প্রতিদিন রাজধানী ছাড়বেন গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ হারে মানুষ।
এসএইচআর/কেএ