সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্টসহ (এভিপি) ৫ জনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২০ জুন) পাবনায় সংস্থাটির সমন্বিত কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এডিপি) ও ঈশ্বরদী শাখার প্রধান মোশতাক আহমেদ, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ, ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার মো. ইমরান ও মেসার্স কায়েস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস।
এজহারে বলা হয়, আসামি ইমরুল কায়েস পাবনা জেলার ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুর উপজেলার মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইউনিলিভার ও রবির ডিস্ট্রিবিউটর এবং ১ম শ্রেণির একজন ঠিকাদার। তার সঙ্গে সাউথইস্ট ব্যাংকটির শীর্ষ কর্তাদের সখ্যতা ছিল। অনুসন্ধানকালে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি ইমরুল কায়েস ২০১৫ সালে ব্যাংকটির ঈশ্বরদী শাখায় একটি হিসাব খোলেন। তিনি নিয়মিতভাবে ব্যাংক লেনদেন সম্পন্ন করেন। তার সাথে ব্যাংকের সকল কর্মকর্তাদের পূর্ব থেকেই ব্যাংকিং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। ব্যাংকিং লেনদেনের সুবাদে শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদ, ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ ও ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার মো. ইমরানের সাথে ব্যাংকের কাস্টমার ইমরুল কায়েসের স্বাভাবিক সখ্যতা ও বিশ্বস্ততা তৈরি হয়। সখ্যতা ও বিশ্বস্ততার প্রেক্ষিতে প্রধান মোশতাক আহমেদ, ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ ও ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার মো. ইমরান কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই আসামি ইমরুল কায়েসকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নগদ টাকা ও পে-অর্ডার প্রদান করেন। দিন শেষে ক্যাশ সমন্বয় করার জন্য আসামি ইমরুল কায়েসের স্বাক্ষরিত দুটি চেক শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদের কাছে সংরক্ষণে রাখা হতো।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই সাউথইস্ট ব্যাংকে ঈশ্বরদী শাখা থেকে সর্বমোট ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয় আসামি ইমরুল কায়েসকে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ইমরুল কায়েসের একাউন্টে ১ কোটি ৭২ টাকা সমন্বয় করা হয়। তবে এক কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা আসামিরা আত্মসাত করেন। আসামি ইমরুল কায়েস সোনা মসজিদ স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে চলে যান।
আরএম/ওএফ