আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও তা এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। কত দিন পর্যন্ত এটি স্থায়ী হয় তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দাম স্থায়ী হলে তা সমন্বয় করার চিন্তা করা হবে।
সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পেট্রোবাংলা ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানি শীর্ষক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্যাস ফিল্ডগুলো রিজার্ভার হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। যদি হয় তাহলে যখন দাম কম থাকবে তখন আমদানি করে মজুদ করা হবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমরা শুধু এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভর করছি না। পাশাপাশি দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও পুরনো গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফ্ফার আলবুলুসিসহ প্রমুখ।
১০ বছর মেয়াদের প্রথম চুক্তির আওতায় বর্তমানে বছরে এক মিলিয়ন টন (১৬ কার্গো) এলএনজি আমদানি হচ্ছে। নতুন চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি, ২০২৭ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত ১৬ কার্গো এলএনজি ও ২০২৯ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে ওকিউ ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।
২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাতারের রাস গ্যাসের সাথে ১৫ বছর মেয়াদি ১.৮ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন এবং গত ১ জুন কাতার এনার্জি ট্রেডিংয়ের সাথে ১৫ বছর মেয়াদি (২০২৬-২০৪০) দ্বিতীয় চুক্তিতে অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বর্তমানে কাতার ও ওমানের সঙ্গে বিদ্যমান দুটি চুক্তির আওতায় ৩.৫ থেকে ৪ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যমান দুটি এফএসআরইউ (ভাসমান টার্মিনাল) দিয়ে ৬.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ওই হিসেবে আরও প্রায় ৩ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মহেশখালীতে তৃতীয় এফএসআরইউ ও পায়রায় চতুর্থ এফএসআরইউ স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, অস্থির বাজারের কারণে এলএনজির দাম ৭০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সেদিক থেকে অনেক নিরাপদ। দামের বিষয়টি গোপনীয়। তবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশ অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আমরা অনেক লাভবান হব।
ওএফএ/ওএফ