ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা, উৎপত্তিস্থল সিলেট
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ঢাকা ছাড়াও সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ থেকে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ।
অবশ্য ভূমিকম্পের পরপরই বিভিন্ন মাধ্যমে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের শিলংয়ে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, ১০টা ৪৬ মিনিট রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনূভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর ঢাকার অনেক বাসিন্দা ফেসবুকে কম্পন অনুভূত হওয়ার কথা লিখেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ভারতেও এ ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম ও মেঘালয়সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু অংশে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হাব নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে আসামের গুয়াহাটি এবং মেঘালয়ের শিলংয়ে ব্যাপক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে আসামে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বলছে, ভারতীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে।
এরআগে গত ৫ মে ভোরে ভূকম্পন অনুভূত হয় ঢাকায়। রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দোহারে। সেদিনও শুক্রবার ছিল।
তার আগে ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।
এনএফ