মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে কাঁদলেন সিইসি
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। স্মৃতিচারণের একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কতটা কষ্টে যে আমরা যুদ্ধ করেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমরা দিনের পর দিন না খেয়ে যুদ্ধ করছি।
তিনি বলেন, ‘এক সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধা একদিন আমাকে বললেন পোস্ট অফিসের মাস্টার দেখা করতে বলেছেন। উনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি পোস্ট অফিসে গেলাম। তখন পোস্ট মাস্টার ও পোস্ট অফিসের কয়েকজন লাল কাপড়ে মোড়ানো একটি জিনিস দিয়ে বললেন এটা রাখেন। আমি বারবার জিজ্ঞাসা করলাম এটাতে কি আছে? পরে খুলে দেখি সেখানে বেশকিছু টাকা রয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘পোস্ট মাস্টার আমাকে বললেন, পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের পরিবারের জন্য মানি অর্ডারের মাধ্যমে যে টাকা পাঠায় সেই টাকা এগুলো। আপনারা এই টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খরচ করুন।’
তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন কতটা ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজগুলো করেছিল। মুক্তিযোদ্ধা শুধুমাত্র আমরা না, তারাও ছিল। ওই বিষয়গুলো যদি হানাদার বাহিনী জানতে পারত, তাহলে তাদের মেরে নদীতে ফেলে দেওয়া হত।
সিইসি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা বলেই বিবেচিত হতে পারে। এজন্য দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা ঠিক হয়নি। কারণ ওই সময় সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল।
এসআর/এমএইচএস