‘বিশেষ দুর্নীতি’ ধরতে দুদকের স্ট্রাইকিং ফোর্স
বিশেষ দুর্নীতি কিংবা বড় কোনো দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে উচ্চ পর্যায়ের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সংস্থাটির গোয়েন্দা টিম প্রধান ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিরেক্ট অ্যাকশন বলে একটি কথা আছে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের মাধ্যমে সেই রকম একটি সেন্স তৈরি করতে চাইছি। দুর্নীতি হলে সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দুর্নীতিবাজদের ধরতে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন >> ২৫০০ পরীক্ষার খাতায় বিশেষ সংকেত, মিলেছে ঘুষের প্রমাণও
আট সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সমন্বয়ক হিসাবে রাখা হয়েছে মানি লন্ডারিং বিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীকে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদক উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ (বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান), উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-৩), উপ-পরিচালক নাজমুল হোসাইন (মানি লন্ডারিং), উপ-পরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকার, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামূল আহসান গাজী (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-২) ও মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকী (মানি লন্ডারিং)।
এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত টিমের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স স্পর্শকাতর ও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ধরতে কমিটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক আরও কর্মকর্তাদের কো-অপ্ট করতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লার নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ১৮ এপ্রিল কমিশন সভায় স্ট্রাইকিং ফোর্স বা বিশেষ কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। যেখানে আলোচনা হয় দুর্নীতিবাজদের তাৎক্ষণিক আইনের আওতায় আনার জন্য কমিশনে সার্বক্ষণিক স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা দরকার। কমিশনের বিশেষ তদন্ত বিভাগের অধীন দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। আর ওই বিশেষ টিম সাধারণ অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে সম্পৃক্ত থাকবে না।
এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এ ধরনের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছিল দুদক। যদিও পরে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ধরতে টিম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময়ে ১১টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সেবা খাতে দুর্নীতি দমনে কাজ করা। প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করা। ওই টিম তিতাস, ওয়াসা, ডেসা, বিটিসিএল, রাজউক, ডাক বিভাগ, সিভিল এভিয়েশন ও বিমান, বিআরটিএ, বিআইডব্লিউটিএ, বিআরটিসি, সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ ২৫টি দপ্তরে দুর্নীতির বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরএম/জেডএস