বাগেরহাটের যুদ্ধাপরাধী আজহার আলী আশুলিয়ায় গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আজহার আলী শিকদারকে (৬৮) দীর্ঘ ৮ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল রোববার (২১ মে) ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। আজহার আলী শিকদার বাগেরহাটের কচুয়ার বাসিন্দা।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আজহার আলী শিকদারসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।
এই ৭টি ঘটনার মধ্যে দুজন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা, ৪০/৫০ বাড়ির মালামাল লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ, দুজনকে অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর জখম এবং ৪ নারীকে দীর্ঘদিন রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে।
১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ উপজেলায় সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-২ মানবতাবিরোধী পলাতক এ যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করে।
জেইউ/এসএম