উন্নয়নের কাজে গাছ কাটলে ৩ গুণ বেশি রোপণ করা হবে
উন্নয়নের কাজে গাছ কাটা হলে সেই জায়গায় আরও তিন গুণ গাছ রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১০ মে) ঐতিহ্য বলয়-৫ এর যাত্রাপথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ধানমন্ডিতে গাছ কাটা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘গাছ কাটা নিয়ে কেউ কেউ মর্মাহত হতেই পারেন, কষ্ট পেতেই পারেন। এটা তাদের আবেগের বিষয়। আবার অনেকেই ঢালাওভাবে অনেক কথা বলছেন। সম্পূর্ণ তথ্য না জেনেই কথা বলছেন। আসলে উন্নয়ন কাজে অনেক সময় গাছ কেটে ফেলতে হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু আমরা তখনই করি, যখন নিতান্তই আর কোনো উপায় নেই।’
‘যে গাছগুলোকে ফেলে দিতে হয়েছে বা কেটে ফেলতে হয়েছে সেই জায়গায় আমরা অবশ্যই অন্য গাছ লাগাব। উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে সেখানে নতুন করে আমরা তিনগুণ বেশি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘যদি একটি গাছ অপসারিত হয় তাহলে সেখানে আমরা তিনটি গাছ লাগানোর লক্ষেই কাজ করছি। ওই সড়ক বিভাজনে আমরা আরও অনেক বেশি গাছ রোপণ করবো। এছাড়া আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রায় দশ হাজার গাছ রোপণ করবো। সুতরাং এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত দুই বছরের বেশি সময়ে প্রায় দুই লাখ গাছ রোপণ করেছি। আদি বুড়িগঙ্গায় আমরা প্রায় লক্ষাধিক গাছ রোপণ করব। তাছাড়া আমাদের খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প পাশ হয়েছে সেখানে আমরা লক্ষাধিক গাছ রোপণ করব। সুতরাং ঢাকাকে সবুজ-শ্যামল করার জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো নগর পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ ছাড়া গাছ কাটার কথা বলে হচ্ছে, এটা আসলে ভুল। আমাদের তিনজন নগর পরিকল্পনাবিদ রয়েছেন। আমি আসার পর থেকে আমাদের প্রকল্প বা নিজস্ব কার্যক্রম হোক বা অন্য কোনো কিছু হোক, আমি বিভিন্নভাবে স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ ও ইতিহাসবিদসহ সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
মেয়র তাপস বলেন, ‘কেউ কিন্তু পরিকল্পনা দেখে না। পরিকল্পনা করে যখন আমরা কাজে যাই তখন অনেকে দেখেন। কিন্তু উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়। আমরা গাছ রোপণ করে যাব। ঢাকাকে অবশ্যই আমরা একটি সুন্দর ও সবুজ নগরীতে পরিণত করব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ, কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম।
এএসএস/কেএ