লকডাউনে পরিবহন খাতে ক্ষতি ৩৩ হাজার কোটি টাকা
২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ রোধে ৬৬ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন চলাকালে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘ এ বন্ধে পরিবহন সেক্টরে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ দাবি করেন। এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, করোনাভাইরাসের শুরুতে দীর্ঘদিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দৈনিক ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে পরিবহন সেক্টরে। সব মিলে এ খাতে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক মালিক দেউলিয়া ও ঋণখেলাপি হয়েছেন। তবে দুঃখের বিষয় অন্য শিল্পের মতো এ খাতে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন (ভার্চুয়ালি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অনুষ্ঠানে এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, একটি বিষয় লক্ষণীয় যারা বাজেট প্রস্তাব দিচ্ছেন প্রায় সবাই ভ্যাট দিতে আপত্তি জানাচ্ছেন। আমার প্রশ্ন আপনারা কি ভ্যাট দিচ্ছেন? আপনারা তো ভ্যাট সংগ্রহ করছেন। তাহলে এতো আপত্তি কিসের? ভ্যাট তো দিচ্ছে জনগণ। আপনি তা সংগ্রহ করে সরকারের কাছে পৌঁছাবেন, এটাই আপনার কাজ।
তিনি বলেন, এনবিআর মনে করে, ব্যবসায়ীরা রাজস্ব আদায়ে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। আপনি যদি আলাদা ভ্যাট সংগ্রহে সমস্যা মনে করেন, তাহলে আপনার মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করে ক্রেতার কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন।
আরএম/এসকেডি