নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষোভ ঝাড়লেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের এখনও আট মাস বাকি। এখনই নির্বাচন প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) নিজেরা বকবক করেন, বিদেশিগুলারে দিয়ে বকবক করান।’
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকরা আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন।
আরও পড়ুন- নীরবে ঢাকা এলেন চীনের বিশেষ দূত, বেইজিং গেলেন পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আট মাস পরে নির্বাচন। এগুলো নিয়ে হইচই। দেশে আর কোনো কাজ নাই? অনেক কিছু দেশে আছে। জলবায়ু, এমপ্লয়মেন্ট চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। আপনারা এগুলো না বলে শুধু বকবক করেন। শুধু নির্বাচন নিয়ে। এটা খুব দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়। আপনারা নিজেরা বকবক করেন, বিদেশিগুলারে দিয়ে বকবক করান।’
সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমরা চাই, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য যে ধরনের ইনস্টিটিউশন করার দরকার সেগুলো প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে সরকার শুধু চাইলে, নির্বাচন কমিশন চাইলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এটা গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না।
বিরোধী দল বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কি না, সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন মোমেন। তিনি বলেন, আপনি বিএনপিকে জিজ্ঞেস করেন তারা কমিটেড কিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে। সব দল যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কমিটমেন্ট দেয় তবেই সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত। বাকিদের (রাজনৈতিক দলগুলো) দলে আনেন।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, নির্বাচনে বিরোধীসহ সব দলের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা থাকতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব দলকে আসতে হবে।
নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং নির্বাচনের সময় কমিশনের হাতে সব ক্ষমতা ন্যস্ত থাকার কথাও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। শুধু স্বাধীন বললে ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রী ওদের (নির্বাচন কমিশন) নিয়োগ দেন নাই। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কমিটি তাদের নিয়োগ দিয়েছে। তারা খুব স্বাধীন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় সব দায়দায়িত্ব কমিশনের। তারা (নির্বাচন কমিশন) চাইলে যে কোনো অফিসার নির্বাচনের সময় সিভিল হোক আর সিকিউরিটি হোক সাসপেন্ড করতে পারে, টারমিনেট করতে পারে, ট্রান্সফার করতে পারে।
দেশের মানুষ বর্তমান সরকারকে আবারও ভোট দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এনআই/এমজে