পোশাক শ্রমিকদের ছুটি ধাপে ধাপে দেওয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন বিভিন্ন মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়া ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই করতেও তাদের নিষেধ করা হয়েছে।
বুধবার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ছুটি প্রদান, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাজাহান খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জননিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি ২১ এপ্রিল থেকে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই ও নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা অঙ্গীকার করেছেন। যদি পারেন, তাহলে এপ্রিল মাসের বেতনও সঙ্গতি অনুসারে দিয়ে দেবেন। যদিও এটা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, ঈদে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে, সেজন্য মার্কেট শপিং মলগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। র্যাবের টহলও দৃশ্যমান রাখা হবে।
তিনি বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা যাবে না। আমরা সেই সিদ্ধান্ত দিয়েছি। যানজট এড়াতে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের একই দিনে ছুটি না দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। সাভার, আশুলিয়াসহ অন্য শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিল্প পুলিশ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন : করোনার দুই বছর বাংলাদেশকে যেভাবে ঠকিয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো
তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের মতো যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস দেশের বড় বড় মার্কেটগুলোতে যাচ্ছে। আগুন ধরলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর তালিকাও তারা প্রেস নোটের মাধ্যমে জানাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস, লঞ্চ ও ট্রেন যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি আটকানো যাবে না।
এনএম/এসকেডি