একদিনের মধ্যে হজ ফ্লাইটের শিডিউল চেয়ে ৩ এয়ারলাইন্সকে চিঠি
২০২৩ সালের হজযাত্রীদের পরিবহনকারী ৩ এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবারের (১৩ এপ্রিল) মধ্যে তাদের হজযাত্রী বহনের ফ্লাইট শিডিউল জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও ফ্লাই নাসকে এই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিটি লিখেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন।
আরও পড়ুন >> হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক শুরু ১৬ এপ্রিল
চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন ২০২৩ তারিখে হিজরি ১৪৪৪ সনের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ১১ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ শেষ হয়েছে। তাই মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য জরুরিভিত্তিতে ফ্লাইট শিডিউল জানা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায়, জরুরিভিত্তিতে ফ্লাইট শিডিউল এ মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখায় আগামী ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এবার মূলত ৫০ : ৫০ অনুপাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদিয়া বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী বহন করবে। তবে সৌদিয়া নিজেদের কোটার কিছু হজযাত্রী বহনের জন্য ফ্লাই নাসের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এর আগে সাড়ে ৭ হাজার কোটা ফাঁকা রেখে শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজ নিবন্ধন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের হজ নিবন্ধনের সমাপ্তি টেনেছে হজ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এবছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৫ এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও কোটা পূরণে ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি আছে।
হজে যাওয়ার জন্য যারা চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন তাদের সৌদি আরবের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। সারাদেশে একযোগে এই বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ ২০২৩ এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী একযোগে শুরু হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধনের শেষ সময় থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তবে কোটার বিপরীতে খুবই কম সংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধিত হন। পরে নিবন্ধনের সময় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই সময়েও কোটার অর্ধেকেরও কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়। এজন্য নিবন্ধনের সময় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই নিবন্ধনের সময় ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে ২৭ মার্চ এবং ৩০ মার্চ দু'দফা সময় বাড়ে। ওই সময়ের মধ্যে কোটা পূরণ না হলে নিবন্ধনের সময় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শেষে আরও এক দফা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।
এআর/জেডএস