সংবিধানের রাষ্ট্রধর্মে বিব্রত ইনু
জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের কোনো লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাত নাই। স্বয়ং মহানবী (সা.) মদিনা সনদে কোনও রাষ্ট্রীয় দলিলে বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেননি। অপর দিকে, ধর্মকে উনি কোনো সময়ই ব্যবহার করে নাই।
তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম সংযোজন করেছেন। সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এই সাংঘর্ষিক অবস্থা আমাদের বিব্রত করছে। সংবিধানের এই সাংঘর্ষিক অবস্থা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য এবং সংবিধানর মূল কাঠামোর সঙ্গে যা যা সাংঘর্ষিক সব বিলোপের জন্য বিবেচনা করা উচিত।’
শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে ইনু এ প্রস্তাব দেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামসহ সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে যা যা সাংঘর্ষিক সেগুলো বাদ দিতে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেন। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলেও শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতা হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিএনপিকে বাধ্য করেছিলেন সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রত্যাবর্তন করতে। শেখ হাসিনাই দ্বাদশ সংশোধনীর কারিগর, ’৭৫-এ হারিয়ে যাওয়া সংসদের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার কারিগর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা প্রকাশ পায় ৯১ সালেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংসদের এগিয়ে চলার প্রশংসা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার আরও সম্পূরক আইন-কানুন, আরও অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা; প্রশাসনের ওপর আরও নজরদারি। রাজনীতির মাঠে যে প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আসে সেগুলো আমলে ও বিবেচনায় নিয়ে সংবিধান সংশোধন করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় কমিটি করা উচিত।’
এসআর/এসএম