বিকেল গড়াতেই বেড়েছে যানজট, গাড়িরও সংকট
পবিত্র মাহে রমজানের সপ্তম দিন আজ। ঢাকা শহর যানজটের নগরী হলেও রমজানের কর্মদিবসে সেটা যেন আরো বেড়ে যায়। বেশিরভাগ অফিস-আদালত বিকেল ৩টা বাজে ছুটি হওয়ায় রাস্তায় বেড়ে যায় গাড়ির চাপ, তৈরি হয় অসহনীয় যানজট।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলেও রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, বিজয় সরণি ও গ্রিনরোড এলাকা ঘুরে যানজটের চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। তবে যাত্রীরা বলছেন, আজকে সড়কে গাড়ির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসফেরত ও ঘরমুখী যাত্রীরা দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকছেন জ্যামে। গাড়ির গতি কম থাকায় বাড়িতে পৌঁছে যথাসময়ে ইফতার করা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।
এসময় কথা হয় বাসযাত্রী মিরপুরের বাসিন্দা সায়েম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের বিকেল ৪টা বাজে অফিস ছুটি হয়েছে। চেষ্টা করি আগে বের হওয়ার, কারণ ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বেশিরভাগ অফিস ছুটি হয় বলে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম হয়। আর যথাসময়ে বাসায় গিয়ে ইফতার করা যায় না।
আরও পড়ুন : উত্তরায় সড়ক অবরোধ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, তীব্র যানজট
কল্যাণপুরগামী যাত্রী শেখ তন্ময় বলেন, প্রেসক্লাব থেকে ফার্মগেট আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। প্রতিটা মোড়ে মোড়েই জ্যাম। আর রোজা রেখে জ্যামে বসে থাকাও কষ্টকর।
এদিকে সড়কে জ্যামের পাশাপাশি রয়েছে গাড়ির সংকটও। বাসস্ট্যান্ডে কোনো গাড়ি এলেই তাতে ওঠার জন্য ছুটছেন যাত্রীরা। তবে বেশিরভাগ বাসে যাত্রী থাকায় অল্প কয়েকজনই তাতে চড়তে পারছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নারীরা। ভিড়ে বাসে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
মিরপুর কালশী এলাকার বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাইম বলেন, ক্লাস শেষে প্রতিদিনই জ্যামের মুখে পড়তে হয়। এসময়ে এতো মানুষ থাকে যে বাসে ওঠা সম্ভব হয় না।
আরও পড়ুন : ‘৩০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে ৩ ঘণ্টা’
আরেক নারী চাকরিজীবী সানজিদা ইসলাম বলেন, রমজানের এই সময়টায় রাস্তায় প্রচুর জ্যাম হয়। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাওয়া যায় না, বা পেলেও তাতে চড়া যায় না। বাধ্য হয়ে সিএনজি বা পাঠাও নিতে হয়।
বিজয় সরণি মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘণ্টাখানেক ধরে দাঁড়িয়েও বাসে চড়তে পারছি না। জ্যামের জন্য বাস আসছেও কম, আর যেগুলো আসছে সেগুলোর বেশিরভাগই ভরা। ঠিকসময়ে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারব কি না আল্লাহই জানে।
ওএফএ/এমজে