এবার ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি
সেদ্ধ ও আতপের পর এবার বেসরকারি পর্যায়ে ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৭ হাজার টন ভাঙা চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে বুধবার (১৭ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক ইমেইলে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ ভাগ এবং পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে বাকি চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে।
শর্তে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল প্লাস্টিক বস্তায় বিক্রি করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হিসেবে গণ্য হবে বলেও শর্ত দিয়েছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চালের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। পর দিন ৪ জানুয়ারি আরও ১৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ৬ জানুয়ারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন এবং ১০ জানুয়ারি ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। গত ১৩ জানুয়ারি ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ছয় হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১ মার্চ ৫৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
অন্যদিকে গত ১২ মার্চ ২৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
এসএইচআর/এসএসএইচ