চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুনিয়রদের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুবাস মল্লিক পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই গ্রুপ আলাদা হয়ে অবস্থান নেয়।
কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকে এখানে দেখছি এ অবস্থা। কিছুদিন পর পর মারামারি হয়। আজকে আমি মারামারির মাঝখানে পড়ে গিয়েছিলাম। দৌড়ে কোনোমতে বের হয়েছি।
কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন রিহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (সোমবার) সভাপতির অনুসারীরা এইচএসসিতে পড়ুয়া এক ছাত্রকে মারধর করেছে। আজ আমাদের সেক্রেটারিও নেই। আমরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গেলে সভাপতির পক্ষের লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের চারজন আহত হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তেমন কিছু হয়নি। গতকালকেও ইন্টারের একটা ছেলে সমস্যা করেছিল। আজকে ইন্টারের ছেলেরা ঝামেলা করেছে। তাদেরকে আমরা বের করে দিয়েছি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠুনকো বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না পুলিশ প্রশাসনকে। একই সঙ্গে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। যে কারণে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে উভয় গ্রুপ।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, চকবাজার এলাকায় সাধারণ সম্পাদক সুবাস মল্লিক সবুজের ভালো অবস্থান রয়েছে। কয়েকদিন ধরে সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারীরা চকবাজারে কোচিং বা অন্যান্য কাজে গেলে হুমকি দেন সুবাসের অনুসারীরা। এ কারণে কলেজ ক্যাম্পাসে সুবাসের অনুসারীকে হামলা করেছে মাহমুদুলের অনুসারীরা।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, কলেজ সভাপতির অনুসারীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। এছাড়া চকবাজারে অজ্ঞাতস্থানে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের জড়ো হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা যদি ক্যাম্পাসে ফেরার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে পুনরায় সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা রয়েছে।
এমআর/জেডএস