নারী দিবসে সুবর্ণাকে মেয়ের স্বীকৃতি দিলেন ব্যারিস্টার সুমন
নারী দিবসে পাবনার সাথিয়ার দরিদ্র পরিবারের সন্তান শিশু সুবর্ণা খাতুনকে মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। একইসঙ্গে বিকেএসপিতে সুবর্ণার ভর্তি ও এক বছরের খরচ বাবদ প্রায় এক লাখ টাকা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
বুধবার (৮ মার্চ) ঢাকার কলাবাগানের নিজ চেম্বার থেকে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে আমি দেখতে পাই সুবর্ণা বিকেএসপিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরও তার ভ্যানচালক বাবা টাকা জোগাড় করতে না পারায় সে ভর্তি হতে পারছে না। বিকেএসপিতে ভর্তি হতে ২৩ হাজার টাকার মতো লাগে। এই ২৩ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে সেখানে অনেক টাকা খরচ হয়। এ কারণে ভর্তি হতে পারেনি সুবর্ণা। আমি এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম সুবর্ণার ভর্তি হতে যত টাকা লাগে আমি দেব এবং আগামী এক বছর প্রতি মাসের খরচ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দেব। আজ সেই টাকা হস্তান্তর করেছি।
‘সুবর্ণার দায়িত্ব নিয়ে যে ম্যাসেজ আমি দিতে চাই, একজন সুবর্ণার দায়িত্ব নিয়ে তো বাংলাদেশ উদ্ধার করা যাবে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এরকম শত শত সুবর্ণা খাতুন আছে। আমার কথা হচ্ছে বাংলাদেশে অনেক বিত্তশালী আছেন। প্রত্যেকে যদি একজন করে সুবর্ণার দায়িত্ব নেন তাহলে অনেক দুর্দশা কমে যেত।’
ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে লাইভে থাকা সুবর্ণা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন আমি দ্রুত মানবী হব। অলিম্পিক গেমসে স্বর্ণপদক জয় করে এনে দেশের মানুষকে দেখাব, আমিও পারি।’
সুবর্ণার বাবা বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে। এই মেয়েটা খেলাধুলায় ভালো। আমার মেয়ে যেন বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে, এই দোয়া কামনা করি।’
ব্যারিস্টার সুমন এ সময় ‘সুবর্ণাকে মেয়ের স্বীকৃতি’ দিয়ে বলেন, আমি সুবর্ণাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। সবমিলে সোনার বাংলা বানানোই আমার উদ্দেশ্য। কোনো মানুষই যেন অর্থের অভাবে ঝরে না পড়ে। আমি অনেক কষ্ট করে এ পর্যায়ে এসেছি। এ কারণে সুবর্ণাদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারি। আশা করি সুবর্ণা এক দিন বাংলাদেশের খেলাধুলায় নেতৃত্ব দেবে। নিজের মেয়ের কোনো ভালো কাজে যেমন গর্বিত হব, ঠিক তেমনি সুবর্ণা ভালো কিছু করলে আমি গর্বিত হব। জন্মদাতা পিতা না হয়েও আমি যেন সুবর্ণার পিতার দায়িত্ব পালন করতে পারি। এ দোয়া দেশবাসীর কাছে কামনা করি।’
এমএইচডি/জেডএস