আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চাইল ইসি
কোনো ঋণ খেলাপি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে ঋণ খেলাপিদের তথ্য জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চেয়েছে ইসি। এ তথ্যের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলেছি- আগামী ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ শূন্য আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। এ নির্বাচনে তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ২৭ মার্চ। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৫ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৬ এপ্রিল। এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
মহাজোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল ২০১৮ সালে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে আসেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যু হয়। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
এসআর/এফকে