নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ
নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে পদ্মা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী জুনেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের সর্বশেষ অগ্রগতি, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা, গাজীপুর জেলার ধীরাশ্রম কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগনালিং পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং চট্টগ্রামস্থ বে-টার্মিনাল সংলগ্ন কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে পুরো প্রকল্পের ৭৫ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। জি-টু-জি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যয়ের ১৮ হাজার ২১০ কোটি ১০ লাখ টাকা বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। আর ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা দেবে চীন।
আগামী জুনে সেতুতে পুরো রেললাইন স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। আর সেটা হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই রেললাইন স্থাপন কাজ সম্পন্ন হবে। প্রস্তাবিত রুটটি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযুক্ত করে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাজারি-মিয়ানমারের গুনদুম সীমান্তে গিয়ে মিলিত হবে।
কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, শফিকুল ইসলাম শিমুল, মো. শফিকুল আজম খাঁন, এইচ এম ইব্রাহিম, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/কেএ