অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেবেন যেভাবে
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অংশ হিসেবে অনলাইনে ইস্যুকৃত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনেই ফেরত দেওয়ার (রিফান্ড) প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামীকাল ১ মার্চ থেকে এই প্রক্রিয়া চালু হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’ কর্তৃপক্ষ।
ট্রেনের টিকিট অনলাইনে ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি
যে অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রেনের টিকিট কেনা হয়, সেই অ্যাকাউন্টে একটি পার্চেজ হিস্ট্রি থাকবে। পার্চেজ হিস্ট্রিতে দেখা যাবে ক্রেতা কতগুলো টিকিট ক্রয় করেছেন। সেই তালিকার ডান পাশে টিকিট বারে একটি নতুন বাটন যুক্ত হবে ‘ক্যান্সেল’ নামে। ওই ক্যান্সেল বাটনে চাপ দিলেই ক্রেতা দেখতে পারবেন, এখন টিকিট ফেরত দিলে কত টাকা ফেরত পাবেন।
এই বাটনটি আগামী ১ মার্চ থেকে যুক্ত করা হবে।
তবে অনলাইনে টিকিট ফেরতের টাকা ক্রেতা সঙ্গে সঙ্গেই পাবেন না। এই টাকা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। টাকা ফেরত না পেলে সমস্যার বিবরণসহ [email protected] এই ঠিকানায় মেইলে একটি অভিযোগ করতে হবে। এই মেইলের উত্তর যাত্রীকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানো হবে।
টিকিট রিফান্ড পলিসিতে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে, এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা এবং অন্য শ্রেণির জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা চার্জ কাটা হবে। ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি হলে, ভাড়ার ২৫ শতাংশ কাটা হবে। ২৪ ঘণ্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি হলে, ভাড়ার ৫০ শতাংশ কাটা হবে। ১২ ঘণ্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি, ভাড়ার ৭৫ শতাংশ কাটা হবে। আর ৬ ঘণ্টার কম সময়ের জন্য কোনো ফেরত দেওয়া হবে না। অনলাইন ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য হবে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, অনলাইনে ইস্যুকৃত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনেই রিফান্ড করার প্রক্রিয়া চালু করা হলে যাত্রীকে স্টেশনে এসে টিকিট রিফান্ড করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ঘরে বসেই টিকিট রিফান্ড করতে পারবে। এতে যাত্রীদের সময়, খরচ বহুলাংশে কমানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, এক্ষেত্রে একজন যাত্রী রেল সেবা অ্যাপ বা রেলওয়ের টিকিটিং ওয়েব পোর্টালে ঢুকে নিজস্ব আইডিতে টিকিট রিফান্ড অপশনে গিয়ে টিকেট সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। পরে রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম থেকে তথ্যাদি যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে যাত্রী কর্তৃক আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা হবে সেই একই পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে টাকা রিফান্ড করা হবে।
এমএইচএন/এমজে