পিকের বান্ধবী রুনাইসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই ও সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে একটি টিম তাদের গ্রেফতার করে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ আসামিদের রমনা থানা হেফাজতে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
এরআগে নাহিদা রুনাইয়ের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে ৮০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রণব কুমার বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণ-এর নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেডের নামে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
যে মামলায় এ তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে। এরপর তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে ওই অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের গ্রহীতা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার মাধ্যমে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করে আত্মসাৎ করেন।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই তার নাম উঠে আসে। গত ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
এছাড়া ৯ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারে সম্পৃক্ততায় পি কে হালদারের ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলার অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
এ কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন সাতজন। যাদের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ছাড়াও পি কে হালদারের সহযোগী শংখ বেপারী ও রাশেদুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরএম/এনএফ