কারাগার সংশোধনাগারে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সন্তোষ নয় কমিশন
কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে যায়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো.সেলিম রেজা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো.আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার,
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করে আট দফা সুপারিশ করে কমিশন।
সুপারিশগুলো হলো,
১. কারাগারে ডাক্তার ও সাইকোলজিস্টের সংকট দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
২. কারাগারে থাকার ব্যবস্থা আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করা;
৩. তৃতীয় লিঙ্গের হাজতিদের জন্য পৃথক কারা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, তা না হলে তাদের নিগ্রহের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. গাজীপুরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো প্রিজন সেল নেই। ফলে গুরুতর অসুস্থ কারাবন্দিদের ঢাকায় পাঠাতে হয়। এতে পথে অনেকে মৃত্যুবরণ করে। তাই ওই হাসপাতালে প্রিজন সেল করা প্রয়োজন;
৫. কারাগারটিকে সংশোধনাগারে রূপান্তরের প্রক্রিয়া সন্তোষজনক নয়। এ লক্ষ্যে কারাগারকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।
৬. কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য কারা একাডেমি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি;
৭. মহিলা কারাগার পরিদর্শনকালে জানা যায়, অধিকাংশ নারী কারাবন্দি মাদক মামলার আসামি, যা উদ্বেগজনক। মাদক সেবন, পাচার ও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি;
৮. কারাগারে মাদক পাওয়া যায়, গণমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্রে দেশের বিভিন্ন কারাগার সম্পর্কে এ ধরনের তথ্য আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি। কারাগার একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থান হওয়ার পরও সেখানে এ ধরনের কার্যক্রম জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। কারাভ্যন্তরে মাদকের সরবরাহরোধে অতি দ্রুত কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সমীচীন মর্মে কমিশন মনে করে।
জেইউ/এসকেডি