প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন: প্রার্থীদের আচরণবিধির পরিপত্র জারি
প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি অনুসরণ করতে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী এবং প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের আচরণবিধি মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
সোমবার (১৫ মার্চ) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচন উপলক্ষে সব প্রার্থীদের ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আচরণ বিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
যেসব আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- মাইক্রোফোন ব্যবহার, পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার, যানবাহন ব্যবহার, মিছিল বা শো-ডাউন, সভা সমিতি অনুষ্ঠান, নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন, গেইট, তোরণ বা ঘের নির্মাণ, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন ও আলোকসজ্জাকরণ, আচরণ বিধি ভঙ্গের শাস্তি, প্রার্থীদের অবহিতকরণ ও প্রাপ্তিস্বীকার করা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯-এর ২৯ (৩) এ বলা আছে, ‘পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ঐ পরিষদের জন্য পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’
অর্থাৎ চলতি মাসের ২১ মার্চের আগেই প্রথমধাপের ইউপি নির্বাচন আয়োজন সম্পন্ন করার কথা ছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় যথাসময়ে ভোট হচ্ছে না। এজন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ২৯ (৫) ধারা প্রয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
ধারায় বলা আছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যাহা আগে ঘটিবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারবে।’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন ২১ মার্চের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ইউপির ভোট করবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫৫টি ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল। চার হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে চার হাজার ১০০ মতো ইউপিতে ভোট করা যাবে। ২০০ ইউপিতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এরই মধ্যে নয় বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি ২০২১ সালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দশম ইউপি নির্বাচন।
এসআর/ওএফ