আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস : নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে শহীদ মিনার এলাকা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎসংলগ্ন এলাকা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ বছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাদের আগমন, অবস্থান ও প্রত্যাগমনের সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎসংলগ্ন এলাকাকে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা হবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় এন্ট্রি, এক্সিট পয়েন্টসহ প্রয়োজনীয় এলাকায় সিসিটিভি, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সংখ্যাক জনবল, অগ্নিনির্বাপণের গাড়ি, যন্ত্রপাতি লাইটিং ইউনিট মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস সমন্বয় করে কাজ করবে। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ও ওষুধসহ দুটি চিকিৎসা ক্যাম্প থাকবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর এবং আজিমপুর কবরস্থান এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে অপ্রতিকর অবস্থা রোধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগেই ট্রাফিক রোড ম্যাপ মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে। ঢাকা মহানগরের বাইরের অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকা, বিভাগীয় এলাকা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতেও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সভা শেষে জানানো হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকার বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিরা যাতে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারেন সেজন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রস্থানের পর ৩০ মিনিট বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে।
এসএইচআর/এসএসএইচ/