৫ ডলারের এলপিজি সিলিন্ডার বিদেশে ২৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে
আন্তর্জাতিক বাজারে পাঁচ ডলার মূল্যের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার পঁচিশ ডলারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমরা তো এর বাইরে নই। তেলের দাম যদি না কমে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যদি বন্ধ না হয়, পাঁচ ডলারের এলপিজি সিলিন্ডার আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হচ্ছে পঁচিশ ডলারে। এর দাম ৬০ ডলারেও উঠেছিল। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস না কিনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিনছে। সেখান থেকে কেনার পর তারা জমিয়ে রাখছে। এছাড়া রাশিয়ার গ্যাস কিনতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে সব জায়গাতেই এর প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, তারা (পশ্চিমা বিশ্ব) মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আমাদেরও ক্ষতি করছে। মানবজাতির শান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া উচিত, যাতে পৃথিবীর অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক জিনিসের দাম কমলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েনি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই রকম কমেনি। আমাদের পাঁচ ডলার যেটার দাম ছিল, সেটা পঁচিশ ডলারে আছে। তার মানে এখনো পাঁচ গুণ বেশি। এক টন এমওপি (সার) ছিল ২১৯ কিংবা ২৫০ ডলার। সেটা এখনো ৬০০ ডলার। আমাদের মতো দেশ কীভাবে এই ব্যয় বহন করব? এতো টাকা আমরা কোথা থেকে দেব? আমাদের তো কোনো গুপ্তধন নেই যে সেই টাকা দিয়ে সার কিনে নিয়ে আসব।
রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
এসএইচআর/কেএ