স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা বলেছেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে ময়মনসিংহ ও রাজশাহীর শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক ও বাল্যবিবাহ রোধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ রোধে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, নারীরা তথ্য-প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। স্মার্ট সমাজ নির্মাণে নারীকে পুরুষের সমান জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে আইসিটিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে।
পৃথক দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস ও রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ এনডিসি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ মো. আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান, ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ দেবদাস ভট্টচার্য্যসহ বিভিন্ন জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও নারী নেত্রীরা।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ গ্রহণ করেন রাজশাহী জেলার মর্জিনা পারভীন। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ গ্রহণ করেন ময়মনসিংহ জেলার মোছা. আমেনা বেগম চম্পা।
রাজশাহী বিভাগের সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন—অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে পাবনা জেলার কেয়া ইসলাম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী রাজশাহী জেলার সাঈদা আঞ্জুম, সফল জননী ক্যাটাগরিতে পাবনা জেলার মোছা. মনোয়ারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা জয়পুরহাট জেলার মোছা. মৌসুমি আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় রাজশাহী জেলার মর্জিনা পারভীন।
ময়মনসিংহ বিভাগের সম্মাননাপ্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন—অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে জামালপুর জেলার দেলুয়ারা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ময়মনসিংহ জেলার মোছা. আমেনা বেগম চম্পা, সফল জননী ক্যাটাগরিতে জামালপুর জেলার সুলতানা রাজিয়া, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা শেরপুর জেলার আবিদা সুলতানা আল্পনা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ময়মনসিংহ জেলার তৃতীয় লিঙ্গের তনু।
এসএইচআর/কেএ