মেট্রোতে চড়ে ইজতেমার পথে মুসল্লিরা
টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমা।
এছাড়া আজ ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে জুম্মার নামাজের জামাত। ইজতেমায় এবং জুমার নামাজে অংশ নিতে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও থেকে উত্তরা যাচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ইজতেমামুখি মুসল্লিরা বলছেন, মেট্রোরেলে চড়ে টঙ্গী পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হবে না। তারপরও উত্তরা পর্যন্ত তো যাওয়া যাবে। কারণ উত্তরা পর্যন্ত রাস্তায়ই সব থেকে বেশি যানজট হয়। তাই যানজটের ভোগান্তি এড়াতে তারা মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে মেট্রোরেলে চড়ার জন্য লাইন ধরছেন ইজতেমামুখী যাত্রীরা। কেউ টিকিট পেয়ে ইতিমধ্যে চলে গেছেন, কেউবা অপেক্ষা করছেন।
আবদুল্লাহ বিন আজম নামে এক যাত্রী বলেন, ইজতেমা শুরু হয়ে গেছে। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য মেট্রোরেল দিয়ে যাচ্ছি। রাস্তায় প্রচুর যানজট থাকে। সে বিবেচনায় মেট্রোরেল অনেকটাই আরামদায়ক পরিবহন।
দেলোয়ার হোসেন নামে আরেক যাত্রী বলেন, পবিত্র ইজতেমায় শামিল হতে যাচ্ছি। এছাড়া জুম্মার জামাতেও অংশগ্রহণ করব। তাই সকাল সকাল এখানে চলে আসা।
সাদ্দাম হোসেইন এসেছেন মোহাম্মদপুর থেকে। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছে যে মেট্রোরেলে চড়ে ইজতেমা ময়দানে যেতে পারছি। সময় এবং ভোগান্তি দুটোই কমে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জুমার নামাজে ভালোভাবেই অংশ নিতে পারব।
মহাখালী থেকে উত্তরা বা টঙ্গী পর্যন্ত পৌঁছাতে বাসের চাইতে মেট্রোরেল অনেক বেশি আরামদায়ক, এমনটাই জানাচ্ছেন যাত্রীরা। এমনকি ফেরার সময়েও মেট্রোরেলে ফিরবেন বলে জানান অনেকে।
ফার্মগেটের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাশেম নামে এক যাত্রী বলেন, গতকাল রাস্তায় ভয়াবহ যানজট ছিল। আজকেও থাকবে। রাস্তার ভোগান্তি এড়াতেই মেট্রোরেলে চড়ে যাচ্ছি। ফেরার সময়ও মেট্রোরেলে ফিরব।
ইজতেমায় জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া বেলাল হোসেইন বলেন, ইজতেমার জন্য গতকাল রাস্তাঘাটে প্রচুর জ্যাম ছিল। সেটা এড়াতে যাওয়া আসা দুটোই মেট্রোরেলেই করব।
ওএফএ/এসকেডি