বাণিজ্য মেলায় জুতা ও হস্তশিল্পের দোকানে ভিড়
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের তৃতীয় দিন আজ। আয়োজনের শুরুর দিকে হওয়ায় মেলা এখনো জমে উঠেনি। মেলায় যে দর্শনাথীরা ঘুরতে এসেছেন, তাদের বেশিরভাগই জুতা ও হস্তশিল্পের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে থাকা স্টলগুলোর মধ্যে জুতা ও হস্তশিল্পের দোকানে ভিড় সবচেয়ে বেশি। দর্শনার্থীরা শুধু দেখছেন না, ঘুরে ঘুরে কিনছেনও। দোকানগুলোর মধ্যে ভারতীয় এবং থাইল্যান্ডের জুতাগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।
এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে একটি ভারতীয় ফুট ওয়ারের দোকানে ঘুরে দেখা গিয়েছে, দোকানে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ব্যানার ঝুলছে। সেখানে লেখা রয়েছে একদম ১ হাজার ৫০০ টাকা। দোকানের কর্মী আসিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দোকানের প্রত্যেকটি পণ্য ভারত থেকে আনা। আপনি যে জুতাই নেন না কেন সেটির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা, একদম ফিক্সড প্রাইস। তবে মেলার শেষের দিকে মালিক ছাড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।
ওই দোকানের ক্রেতা রাফিউন নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দোকানের জুতাগুলোর মান অনেকটা ভালো মনে হয়েছে। ১৫০০ টাকায় আমি এক জোড়া জুতা নিয়েছি।
আরেকটি দোকানে থাইল্যান্ডের প্রোডাক্ট দেখা গেছে। দোকানে মেয়েদের নানান প্রোডাক্ট রয়েছে। ওই দোকানের বিক্রেতা জুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের দোকানের প্রত্যেকটি পণ্যই থাইল্যান্ড থেকে আনা। আমাদের কাছে মেয়েদের চুলের ফিতা, ব্যান্ড, কাঁকড়া, হাতের চুড়ি ও ব্যাগ ইত্যাদি জিনিসপত্র রয়েছে। একেক পণ্যের দাম একেক রকম।
এদিকে হস্তিশিল্পের মধ্যে মেয়েদের ব্যাগ ও ওয়ালমেটের দোকানগুলোতেও অনেকটা ভিড় দেখা গেছে। সেগুলো দেশেই তৈরি। ক্রেতারা ঘুরে দেখছেন, পছন্দ হলে দামদামিও করছেন।
সেখানের একজন ক্রেতা শাকিলা ইয়াসমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পণ্যগুলোর মান অনেকটা ভালো, কিন্তু দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।
এদিকে মেলায় আসা শিশুদের জন্য এক্সিবিশন সেন্টারের পেছনে কিডস জোন রাখা হয়েছে। শিশুদের আনন্দ দিতে কিডস জোনে বেশ কয়েকটি রাইডের আয়োজন করা হয়েছে। এসবের মধ্যে হচ্ছে ১০ রাইডের ট্রেনে উঠতে হলে গুনতে হবে ৬০ টাকা। ভূতের বাড়িতে ভূত দেখতে গুনতে হবে ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে সময় দেওয়া হবে মাত্র সাত মিনিট। ১০ রাউন্ডের জন্য নাগরদোলায় উঠতে ব্যয় করতে হবে ৬০ টাকা। ১০ মিনিটের জন্য স্পিডবোটে উঠতে ৬০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। এছাড়া নৌকার রাইডে ৯ রাউন্ডের জন্য উঠতেও ৬০ টাকা গুনতে হবে।
এমএইচএন/কেএ