চলতি বছরেই বিএসএমএমইউতে হবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট
চলতি বছর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকে হেমাটোলজি বিভাগ আয়োজিত ‘নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন অ্যান্ড ইয়ার প্লান ডিকলারেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপাচার্য এ কথা জানান।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, চিকিৎসা ও গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট নিয়মিত করছি। ইতোমধ্যেই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হেমাটোলজি বিভাগ খোলা ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>বিএসএমএমইউতে ফের কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু
তিনি বলেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর এখানে এসে একটি ভাষণে বলেছিলেন, রক্ত শুধু দেওয়া নয় বরং রক্তের ওপর গবেষণা করতে হবে। গবেষণার জন্য এখানে অচিরেই বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমার সময়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) শুরু করতে চাই। এখানে চলমান লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, হেমাটোলজি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসায় সময় বেশি লাগার কারণে ডে কেয়ার সেন্টার চালু করার চিন্তাভাবনা করছি। আমরা হেমাটোলজিক্যাল টেস্ট, নিউবর্ন স্ক্রিনিং, এবনরমালিটি ডিটেকশন, ফিস্ট টেস্ট ও কোলোরেকটরাল কারসিনোমা রোগের ওপর গবেষণা করছি। গবেষণার জন্য বাজেটের বাইরে আরও ২৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন>>১২শ কিডনি প্রতিস্থাপন, মাইলফলক গড়লেন ডা. কামরুল
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ইয়াং জেনারেশন চিকিৎসকদের টেলি কনসালটেশন, কোলাবোরেশন ট্রেনিং প্রোগাম ও টেলি হেলথে অংশগ্রহণ করতে হবে। এসব যদি করতে পারি তবে আমরা স্মার্ট সিটিজেন হব, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ও স্মার্ট হেলথ হবে। এ বছর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করার পাশাপাশি রোবটিক সার্জারিও চালু করব। রোবটিক সার্জারি, স্টেম সেল থেরাপি ও আর্টিফিয়াল ইনটেলিজেন্স হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।
টিআই/কেএ
