মেট্রোরেল থেকে নেমেই মিলছে শাটল বাস সার্ভিস
সকাল থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য চালু হয়েছে মেট্রোরেল। আগারগাঁও স্টেশন থেকে যারা মেট্রোরেলে করে উত্তরা উত্তর স্টেশনে এসে নামছেন তাদের অন্য গন্তব্যে যেতে মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিস চালু আছে। বিআরটিসির এই দ্বিতল বাসে যাত্রীরা দিয়াবাড়ি, হাউজবিল্ডিং এবং আব্দুল্লাপুরের মধ্যে চলাচল করতে পারছেন।
যাত্রীরা মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে নিচে নামলেই বের হওয়ার গেটের সামনেই এই সেবা চালু রেখেছে বিআরটিসি। সেখানে এসব বাসে ওঠার জন্যও রাখা হয়েছে একটি কাউন্টার। তবে কাউন্টার ছাড়াও বাসের ভেতরে টিকিট সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে।
যারা আগারগাঁও থেকে মেট্রোরেলে করে উত্তরা উত্তর স্টেশনে আসছেন তারাই মূলত এই মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিসের যাত্রী। এই বাসে যেকোনো দূরত্বেই সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫ টাকা। একের পর এক বাস সিরিয়ালে রাখা হয়েছে স্টেশনের নিচেই। যাত্রী এলেই মুহূর্তে বাস পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
বিআরটিসির শাটল বাস সার্ভিসের টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত ম্যানেজার মাসুম আহমেদ বলেন, মেট্রোরেলে আসা যাত্রীরা স্টেশনে নেমে যেন এখান থেকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে পারেন সেজন্যই মূলত এই বাস সার্ভিস। বাসগুলো দ্বিতল তাই যাত্রী ধারণক্ষমতাও বেশি।
মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে এসেছেন হাবিবা খাতুন। তিনি বলেন, খুব ভালোভাবেই প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে যাত্রা করলাম, এটা অন্যরকমের এক অভিজ্ঞতা। এরপর স্টেশনে নেমেই বিআরটিসির বাসও পেয়ে গেলাম। যাত্রীরা স্টেশনে নেমেই যেকোনো গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এই বাসগুলো পেয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এরপর আজ সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মেট্রোরেল।
চালু হওয়ার প্রথমদিন সকালেই উত্তরা উত্তর স্টেশনের নিচে হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। শীতের সকালে ভোর থেকেই মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন প্রথম বারের মতো মেট্রোরেলে চড়তে। কিন্তু প্রথম দিনেই এতো মানুষের ভিড়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ধীরগতিতে স্টেশনে যাত্রী প্রবেশ করিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ফলে স্টেশনের বাইরে অপেক্ষমান যাত্রীর সংখ্যা এবং লাইন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লম্বা হয়েছে।
এএসএস/জেডএস