হিজবুত তাহরীর নেতা নাফিজ গ্রেপ্তার
পুলিশের ওপর হামলা, নাশকতাসহ পাঁচ মামলায় দীর্ঘ ৮ বছরের পলাতক আসামি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা নাফিজ সালাম উদয়কে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল। ঢাকার আদাবরের আব্দুস সালামের ছেলে নাফিজ।
র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি ফজলুল হক জানান, নাফিস সালাম উদয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের দাওয়াতি ও অর্থ বিভাগের সক্রিয় সদস্য। তিনি পরিচয় গোপর রাখার জন্য দাঁড়ি কেটে তার লেবাস পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচরে ভাঙ্গারীর ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিগত ৮ বছর যাবৎ আত্মগোপনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
নাফিস সালামের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলার মামলা ও আদাবর থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া আদাবর থানায় তার নামে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এএসপি ফজলুল হক বলেন, নাফিজ সালাম উদয়কে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-২ এর একটি দল দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত ও নজরদারিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর জঙ্গি প্রতিরোধ সেলের একটি বিশেষ দল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নাফিজ সালাম উদয়কে গ্রেপ্তার করে।
এএসপি ফজলুল হক বলেন, এইচএসসি পাস করে ২০০১ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যায় নাফিজ। সেখানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ওপর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে। বাংলাদেশে আসার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মাস্টার্স শেষ করেন।
নাফিজ সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গিবাদী বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিলেন।
তিনি হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ শাখার আমিরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীর গ্রুপ লিডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র এবং সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জেইউ/এসএম