আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে মেসিদের সঙ্গে আনার আহ্বান
আগামী বছরের মার্চে ঢাকা সফরে আসবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো। সেই সফরে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূত ব্রাজিলে যিনি (সাদিয়া ফয়জুননেসা) ওনার কাছ থেকে আজ একটা ই-মেইল পেয়েছি। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশে আসবেন। তখন দূতাবাস খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা ভালো সংবাদ।
আরও পড়ুন : বৈশ্বিক এজেন্ডায় রোহিঙ্গা ইস্যু জিইয়ে রাখতে ওআইসিকে অনুরোধ
মোমেন বলেন, আমি এটা জানার পর আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, আপনি দেখবেন, সঙ্গে করে মেসি এবং তার দলকে নিয়ে আসা যায় কি না। আমরা তাদের আতিথেয়তা দেবো। দেখা যাক আসে কি না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। অনেক পুরনো বন্ধুত্ব।
ফুটবল কূটনীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমাদের সমর্থকদের কারণে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলে আমাদের একটা ভালো অবস্থান হয়েছে। এটা ভালো হয়েছে। আমরা এটাকে কাজে লাগাতে চাই।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা একদিকে আসে আরেকদিকে যায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে জয়ে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক চিঠিতে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। সেই চিঠির জবাবে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে স্প্যানিশ ভাষায় শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনও। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাফিয়েরোকে লেখা এক চিঠিতে অভিনন্দন জানান।
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ থেকে দারুণ সমর্থন পেয়েছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের খেলা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মাতামাতি-উদযাপন মন কেড়েছে আর্জেন্টাইনদের। সে কারণে বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস খোলার পরিকল্পনার কথা জানায় আর্জেন্টিনা সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সফরে আসতে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এনআই/কেএ/এসকেডি