পিটার হাসের ঘটনায় পরদিনই উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র!
রাজধানীর শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে কথা বলেছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তখন ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগের ঘটনার পরদিন ১৫ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে ডোনাল্ড লু আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরপত্তার বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন লু।
এ বিষয়ে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের মুখোমুখি হন কয়েকজন সাংবাদিক। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, হয়তো কনসালটেশনের জন্য গিয়েছিল (রাষ্ট্রদূত)।
এ বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে উদ্বেগের কারণ আছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় যান। ওইদিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সুমনের বাসায় প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় ২৫ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তিনি ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু লোক মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে ধরেন। তারা প্রায় ৪৫ বছর আগের গুমের ঘটনা ও সামরিক শাসনামলে জিয়াউর রহমান কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দিতে চান। রাষ্ট্রদূত ঘটনার আকস্মিকতায় ভয় পেয়ে যান। তিনি অনেক বেশি বিব্রত বোধ করেন। তিনি ওই স্মারকলিপি গ্রহণ না করে দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়েন।
ওখান থেকে ফিরেই ওইদিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন পিটার হাস। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের শাহীনবাগে যাওয়ার খবর কে প্রচার করল, সেটি রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান। পাশাপাশি মোমেন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা চাইলে আরও নিরাপত্তা দেবে সরকার।
এনআই/এমএ/জেএস