এক লাখ টাকায় লিখিত পরীক্ষায় পাস, মৌখিকে ধরা
নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মো. নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষার সময় অভিযুক্তের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তাকে নগরের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটক নিজামের গ্রামের বাড়ি মিরসরাই পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তারাকাটিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম ওবাইদুল হক।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনে চার পদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন নিজাম। এ সময় তার লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষার উত্তর সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হয়।
এরপর নিজামকে লিখিত পরীক্ষায় আসা বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু এসবের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন নিজাম। যদিও এসব প্রশ্নের উত্তর লিখিত পরীক্ষায় তিনি পেরেছিলেন। এরপর তার লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে থাকা স্বাক্ষরের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মিলিয়ে দেখা হয়। কিন্তু তাতেও মিল পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে নিজাম স্বীকার করেন তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তার এলাকার লিটন চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে লিখিত পরীক্ষায় অন্য একজন অংশ নিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় পাস করার অভিযোগে শনিবার একজনকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে জালিয়াতির অভিযোগে এক চাকরি প্রার্থীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসকেডি