সিএমএইচে রাবেয়া-রোকেয়াকে দেখতে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন যমজ বোন রাবেয়া ও রোকেয়ার সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফ্রিডম অপারেশনের সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবন পাওয়া এই যমজ বোনকে দেখতে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সস্ত্রীক সিএমএইচে যান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা সিএমএইচের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাবেয়া ও রোকেয়া, তাদের মা-বাবা এবং তাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ড. মোমেন যমজ দুই বোনের চিকিৎসার অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিএমএইচের সুন্দর ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট জোড়া মাথার যমজ বাচ্চা রাবেয়া ও রোকেয়াকে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি দল কর্তৃক সফলভাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করা হয়। পৃথকীকরণের পরে অস্ত্রোপচারের ক্ষত স্থানের কিছু জটিলতার জন্য তারা বর্তমানে ঢাকায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসরা মন্ত্রীকে জানান, তিন বছর ধরে চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পঞ্চাশটির অধিক অপারেশন করে যমজ এই বাচ্চা দুটিকে সফলভাবে পৃথক করা সম্ভব হয়েছে। তারা এখন স্বাধীন জীবন উপভোগের সুযোগ পেয়েছে।
চিকিৎসকরা আরও জানান, বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির প্রায় ১২৫ জন ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্য সহকারীদের আন্তরিক সেবাদানের ফলে দুজনই সুস্থ আছে। বিশ্বে এ যাবত ১৮-১৯টি এ ধরনের অপারেশন হয়েছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগী মারা গেছে। এই যমজ দুই বোনের মধ্যে রাবেয়া সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তবে রোকেয়ার আরেকটি অপারেশন করা হয়েছে।
রাবেয়া ও রোকেয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু চকলেট-বিস্কুট উপহার দেন এবং তার মা-বাবাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এনআই/আরএআর