বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের পাওনা ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি
চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের বিল পরিশোধ করেনি সরকার। এই পাঁচ মাসে বকেয়ার পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার। টাকার অংকে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ হাজার ৩৭০ কোটির বেশি (১০১ টাকা ডলার ধরে)।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিপ্পা) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার বেসরকারি উৎপাদকদের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ কিনে থাকে। বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ডলারের মাধ্যমে। প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ কেনে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে বেসরকারি খাত থেকে ৪৪ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকার বিদ্যুৎ কেনা হয়েছে।
বেসরকারি খাতের উৎপাদকরা মূলত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। যার মধ্যে প্রধান হলো ফার্নেস অয়েল। এছাড়া ডিজেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমেও উৎপাদন করা হয়। তবে বিল পরিশোধ না হওয়ায় আমদানি বন্ধে স্থগিত রয়েছে বেশ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম। এর মধ্যে রয়েছে ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এনার্জিপ্যাক, ১১৩ মেগাওয়াটের হোসাফ, ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রাজলঙ্কা, ২০০ মেগাওয়াটের দেশ এনার্জি ও ৫০ মেগাওয়াটের এনা পাওয়ার।
এ বিষয়ে বিপ্পার সভাপতি ইমরান করিম বলেন, সামগ্রিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আমরা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করে যাচ্ছি। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে পাওনা বিল না পাওয়ায় আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি আমদানি করতে পারছি না।
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র অপারেটরদের কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের বিল পরিশোধ না করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা।
বিপিডিবির সদস্য (অর্থ) শেখ আকতার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছু সমস্যা থাকায় গত কয়েকমাস ধরে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের কোনো বিল দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দ্রুত বিল পরিশোধের বিষয়ে কাজ করছি।
ওএফএ/এসএম