বিজয় দিবসে সারা দেশে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি
আসছে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো
১. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমন ও প্রত্যাবর্তনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নির্বিঘ্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২. বাংলাদেশস্থ বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কূটনৈতিকবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া আসার পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে।
৩. পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪. ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখা এবং ওভারহেড তোরণ নির্মাণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করা হবে।
৫. বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলা সদর উপজেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৬. দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে পূর্বেই স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৭. বিজয় দিবসের দিন জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
৮. সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স, উদ্ধার সরঞ্জাম ও অগ্নি নির্বাপণ গাড়ি থাকবে।
৯. ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সারা দেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
১০. কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। মাস্ক পরিধান করে অনুষ্ঠানে যেতে বলা হয়েছে।
১১. সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও প্রয়োজনে অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এমএসি/ এমএ