মিয়ানমার থেকে আসে ১০ কোটি টাকার আইস
দেশে নতুন মাদক ক্রিস্টার মেথামফিটামিন বা আইসের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ মাদক মিয়ানমার থেকে দেশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩ মার্চ) টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন জাদিমুড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি ওজনের এ চালানটি জব্দ করা হয়। জব্দ করা এ আইসের আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকা। এ সময় আব্দুল্লাহ (৩১) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে সেগুনবাগিচায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আহসানুল জব্বার। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এটি নতুন মাদক আইসের জব্দ করা সবচেয়ে বড় চালান।
আহসানুল জব্বার বলেন, এ সময় আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হলেও তার আরেক ভাই রহমান পলাতক রয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে ৫২০ গ্রাম ওজনের একটি চালান জব্দ করা হয়েছিল। চালানটি থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে আসে। তবে এটির গন্তব্য কোথায় ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
এ মাদকের ক্রেতা কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার ধনী শ্রেণির লোকজন এ মাদকের ক্রেতা। ইয়াবার চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী আইস। এটি নাক দিয়ে, ধোঁয়া বা ইনজেকশনে মাধ্যমে নেওয়া হয়। এটি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণত ধনীরাই এর ক্রেতা।
তবে বাংলাদেশে এখনও এ মাদকের ভোক্তার সন্ধান পাওয়া যায়নি, জানিয়েছেন আহসানুল জব্বার। তিনি বলেন, এর আগে দেশে কয়েকবার এর বাজার সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। তবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এমএসি/এমএইচএস