ছিলেন ছদ্মবেশে, যেভাবে পুলিশের হাতে ধরা ওসমান

চট্টগ্রামে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় রিকশাচালক মো. ওসমান হারুন মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ওসমান শিশুটিকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করা হয়। এরপর গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে ডবলমুরিং থানার বেপারি বাজার থেকে ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্দর থানার পোর্ট কলোনি সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে বন্দর, হালিশহর ও ডবলমুরিং থানার শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডবলমুরিং থানার বেপারি বাজার এলাকা থেকে বুধবার রাতে ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রামের বন্দর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক কিশোর মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর ওসমান সাত বছরের কন্যাশিশুটিকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে হালিশহরের কে ব্লক থেকে তার নিজের রিকশায় তোলেন। বড়পুল এলাকায় নিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ান। পরে পোর্ট কলোনির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর শিশুটির গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশ ধারণ করে পলাতক ছিলেন ওসমান।
তিনি বলেন, শিশুটির পিতা রিকশাচালক। শিশুটি ভিক্ষাবৃত্তি করত।
কেএম/আরএইচ